মোবাইল আসক্তি রোধে ৭ পরামর্শ

লেখক: অপরিচিত | সঙ্কলনের দিন: জানুয়ারী 08, 2018

আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী মোবাইল আসক্তির কটুচক্রে আবদ্ধ হয়ে বেমালুম ভুলে যায় নিজের ভবিষ্যত জীবনের সোনালী স্বপ্নের কথা ফেইসবুক,ইনস্ট্রাগ্রাম,ইউটিউব কিংবা টুইটারের করাল চক্রে তারা আটকে ফেলে সুন্দর জীবনের খেই তারা আসক্তির মোহ ভাঙ্গার পথ খুঁজে পায়না, হারিয়ে ফেলে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ তাহলে করণীয় কী? কিভাবে মোবাইলের এমন আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে?

তোমাদের মনে যদি এমনো হাজারও প্রশ্ন ভর করে, তবে ভড়কে যাবার কিছু নেই। তোমাদের জন্যই এই লেখাটি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু সহজ ছোট ছোট কৌশল অবলম্বন করলেই মোবাইল  আসক্তির এই কঠিন গোলক ধাঁধাঁ ভাঙ্গতে পারবে তুমিও তাহলে দেরি না করে এক নজরে দেখে নিতে পারো কৌশলগুলো-

. নোটিফিকেশন অফ রাখা:

এই কৌশলটি হলো  বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন বন্ধ না থাকলে ফেইসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার কিংবা বিভিন্ন সাইটের নোটিফিকেশন আসতে থাকে ক্রমাগত যার ফলে আমরা ক্ষণিক পর পরেই নোটিফিকেশন চেক করার অযুহাতে এসব সাইটগুলোতে ঘন্টার পরে ঘণ্টা ব্যয় করতে থাকি আর রোজকার এমন কান্ডে অবচেতন মনেই আমরা মোবাইল আসক্তির শিকার হই তাই  বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন অফ রাখা হতে পারে মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার সুন্দর একটি কৌশল

. নির্দষ্ট সময়ে মোবাইল ব্যবহার করা:

যতবেশি মোবাইল ব্যবহার করবে; তত বেশি মোবাইলে আসক্ত হবে তাই, সবসময় মোবাইল ব্যবহার না করে দিন কিংবা রাতের নির্দিষ্ট সময় মোবাইল ব্যবহার করতে পারো পারলে একটা রুটিন করে নিতে পারো, কেবল রুটিনের সময়েই মোবাইল ব্যবহার করবে, এর বাইরে নয় মোবাইল আসক্তি রোধে এটি দারুণ কার্যকরী কৌশল

. তিন সময়ে মোবাইলকেনাবলা:

আমরা অনেকেই খাবার সময় মোবাইল ব্যবহারে এতো বেশি আসক্ত যে, যেনো মোবইল টিপতে না পারলে খাবারে পূর্ণ তৃপ্তি থাকেনা আবার অনেকের কাছে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে মোবাইল ব্যবহার করা যেন রোজকার রুটিন কেউবা আবার আড্ডায় বসলেও মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকে সারাক্ষণ শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এই তিন সময়ে তুমি যদি মোবাইলকে নাবলতে পারো তবে তুমি সহজেই মুক্তি পেতে পারবে মোবাইল আসক্তির করাল চক্র থেকে তাই মোবাইল আসক্তি রোধে এই তিন সময়ে মোবাইলকেনাবলো

. মোবাইল বন্ধ রাখা:

মোবাইল আসক্তি রোধে এটি তোমার জন্য হতে পারে সবচেয়ে সহজ এবং সুন্দর পদ্ধতি তুমি যখন পড়তে বসবে, ঘুমাতে যাবে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকবে তখন মোবাইল বন্ধ রাখতে পারো এতে তুমি যেমন পড়াতে একাগ্রতা ঠিক রাখতে পারবে, ঘুমাতে পূর্ণ স্বাদ পাবে তেমনি আলাপচারিতায় পাবে প্রফুল্লতা আর সময়গুলোতে মোবাইল ব্যবহার হতে বিরত থাকার ফলে তুমি ক্রমশই মোবাইল আসক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে সহজে   

. ব্যবহার করো দীর্ঘ এবং শক্ত পাসওয়ার্ডঃ

মোবাইলে দীর্ঘ এবং শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারো, যা হতে পারে ১৫ কিংবা তার অধিক ক্যারেক্টারের যার ফলে তুমি চাইলেই এক ক্লিকে ফেইসবুক কিংবা বিভিন্ন সাইটে ঢু মারতে পারবেনা তার আগে এই দীর্ঘ এবং শক্ত পাসওয়ার্ড খোলার ঝামেলা পোহাতে হবে তোমাকে মোবাইল আসক্তি রোধে তোমার জন্য এটি হতে পারে চমৎকার একটি কৌশল

. সময় ব্যবহারের অ্যাপ:

গুগল প্লে স্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারো  Time Tracker, AddictOmeter Phone Manager, Forest,  Rescue Time-এর মতো কিছু চমৎকার মোবাইল অ্যাপ যেগুলো তোমার দিনের কিংবা রাতের প্রতিটি সময় ব্যয়ের পূর্ণ তথ্য তোমাকে দেবে তারপর তুমি ঘুমানোর পূর্বে এই সময় ব্যয় দেখে নিজেক প্রশ্ন করো, তুমি যেসময় মোবাইলে ব্যয় করেছ তার কতটুকু তোমার নিজের জন্য করেছ? কতটুকু সময় তুমি অপচয় করেছ। দেখবে, মাসখানেক তোমার এমন আত্মবিশ্লেষণে উবে যাবে মোবাইল আসক্তি; বদলে যাবে তুমি

.বন্ধ রাখো গ্রুপ চ্যাট:

ফেইসবুকে কলেজ বন্ধুদের গ্রুপ চ্যাট, পাড়ার বন্ধু-বান্ধবের গ্রুপ চ্যাট কিংবা ফ্যামিলি মেম্বারদের গ্রুপ চ্যাট যেনো ফেইসবুকে একবার ঢুকলে গ্রুপ চ্যাটের আড্ডা থেকে  বের হওয়ার সুযোগ নেই গ্রুপ চ্যাটে হররোজ এমন আড্ডাই একসময় পরিণত হয় আসক্তিতে তাই মোবাইল আসক্তি রোধে অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় গ্রুপ চ্যাটগুলো বন্ধ রাখাই শ্রেয়

 

 

 

 

 

 


< সকল পোষ্টে ফিরে চলুন